অফিস ডেস্ক: ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫: সুপ্রিম কোর্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি সাংবাদিক সংগঠন, বাংলাদেশ অনলাইন সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব (বি.ও.সি.পি.সি) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান, মহাসচিব এবং সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সকল সাংবাদিক নেতারা এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর আইনজীবীদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে অপেক্ষা করছিলেন গণমাধ্যম কর্মীরা। এ সময় বিএনপির কয়েক’শ নেতা-কর্মী ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর জন্য ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। এদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবও উপস্থিত ছিলেন।
ধাক্কাধাক্কির সময় এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আখতারের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পাবনার ঈশ্বরদী এলাকার ২০-২৫ নেতা-কর্মী জাবেদ আখতারকে লাথি-কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম পান্নু, সিনিয়র সাংবাদিক হাসান জাবেদসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক মারধরের শিকার হন। হামলাকারীরা টেলিভিশনের মাইক্রোফোনও ভাংচুর করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদমাধ্যমকে একটি দেশের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবং সেই সংবাদমাধ্যমকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সচল রাখে মাঠ পর্যায়ের সংবাদকর্মীরা। সাংবাদিকতার নিয়মনীতি অনুসরণকারী সংবাদকর্মীরা নির্দিষ্ট কোনো পক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত না হয়ে প্রকৃত ঘটনা বা সত্যকে প্রকাশ করতেই সর্বদা নিরলসভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
এক্ষেত্রে, যারা মিথ্যা ও অন্যায়কে সমর্থন করে এবং সত্যকে গোপন করে নিজেদের অপরাধমূলক কার্যক্রম বজায় রাখতে চায়, তারা সাংবাদিকদের ওপর পেশি শক্তির ব্যবহার করে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। এটি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি এবং সাংবাদিকতা পেশার জন্য একটি গুরুতর হুমকি।
নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রায়শই সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা, মোবাইল বা সংবাদ সংগ্রহের ডিভাইস ছিনিয়ে নেওয়া, হুমকি প্রদান এবং লাঞ্ছিত করাসহ নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। অধিকাংশ ঘটনাতেই দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সাংবাদিকদের ওপর যে বা যারাই এই ন্যাকারজনক হামলা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই চিহ্নিত করে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। তারা অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।