বাংলাদেশ অনলাইন সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব (বি.ও.সি.পি.সি)
প্রেসক্লাব এর গঠনতন্ত্র
১। এই ক্লাবের নাম হবে ‘বাংলাদেশ অনলাইন সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব ’(বি.ও.সি.পি.সি)।
২। ক্লাব এর অফিস ঢাকা শহরে অবস্থিত থাকবে।
৩। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সমস্ত দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার সম্পাদকসহ সাংবাদিকগণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র সমূহের এবং সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে এই ক্লাব গঠিত হবে।
৪। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
ক) সুস্থ সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশ সাধন।
খ) জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ।
গ) সাংবাদিকদের জন্য পাঠাগারের ব্যবস্থা করাসহ অন্যান্য সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংগঠিত করা।
ঘ) সংবাদপত্র ও সাময়িকীসমূহ সংরক্ষণ ও পাঠের সুবন্দোবস্ত করা।
ঙ) ক্লাব উন্নয়নে তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সূত্র হতে আর্থিক অনুদান ও বিভিন্ন সামগ্রী ও আসবাবপত্র গ্রহণ করা।
চ) ক্লাবে ব্যবহারের জন্য আসবাবপত্র, বাসনপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য্য দ্রব্যাদি ক্রয় করা। বই-পুস্তক, সংবাদপত্র ও অন্যান্য ম্যাগাজিন ও সাময়িকী ক্রয় ও সংগ্রহ করা। খেলার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ও সংগ্রহ করা।
ছ) ক্লাবের প্রয়োজনে ও স্বার্থে কোনো জমি, ভবন অথবা অন্য কোনো সম্পত্তি ক্রয়, লিজ নেয়া অথবা সংগ্রহ করা। একই প্রয়োজনে ও স্বার্থে ক্লাবের কোনো সম্পত্তি বিক্রি অথবা বন্ধক দেয়া।
জ) ক্লাব সদস্যদের ন্যায়সংগত অধিকার রক্ষা করার জন্য উদ্যোগী ভূমিকা নেয়া এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার ব্যাপারে দৃষ্টি ভুমিকা গ্রহণ করা।
ঝ) ক্লাব সদস্যদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা।
৫। যদি কোনো কারণে কোনো সময়ে ক্লাব বিলুপ্ত হয়ে যায় তবে সেক্সেত্রে ক্লাবের সকল দায়দায়িত্ব ক্লাবের সকল সদস্যদের উপর সমভাবে বর্তাবে।
৬। সদস্য পদ : তালিকা সংযুক্ত ।
৭ নাম্বার অনুচ্ছেদে বর্ণিত শর্তাদি পূরণসাপেক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রসমূহে ও সংবাদ সংস্থার দেশের বিভিন্ন জেলার সাংবাদিকগণ ক্লাবের সদস্য হতে পারবেন। এ ছাড়া ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকাএবং ইলিকট্রিক মিডিয়ার সম্পাদক ও কর্মরত সাংবাদিকগণ ক্লাবের সদস্য হতে পারবেন। সংবাদপত্রের সাথে জড়িত নন কিন্তু এই পেশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল যে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি সহযোগী সভ্য পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাকে প্রেসক্লাব নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরমে কমপক্ষে একজন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের সুপারিশ থাকবে।সহযোগী সদস্যপদ অবশ্যই কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদিত হতে হবে।
৭। সদস্য হবার প্রয়োজনীয় শর্তাদি:
ক) কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদদাতারা অবশ্যই কমপক্ষে ৩ (তিন) মাস পূর্বেকার স্থায়ী নিয়োগপত্র থাকতে হবে।
খ) প্রেসক্লাবের নির্ধারিত ফরমে সম্পাদকের নিকট আবেদন করতে হবে। আবেদন অবশ্যই ২ (দুই) জন সভ্যের দ্বারা প্রস্তাবিত ও সমর্থিত হতে হবে।
গ) আবেদনপত্র পাওয়ার পর ক্লাবের সম্পাদক ১৫ (পনের) দিন পর্যন্ত উক্ত আবেদনপত্র নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে রাখবেন। উক্ত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আবেদন কারীর সদস্য পদ প্রদানের ব্যাপারে যদি কোনো আপত্তি উত্থাপিত হয় তবে আপত্তিকারী সম্পাদকের নিকট লিখিতভাবে আপত্তির কারণসমূহ জানাবেন। আপত্তি সম্পর্কে সিদ্ধান্তের জন্য কার্যকরী কমিটির পরবর্তী সভায় পেশ করতে হবে। সমস্ত শর্তাদি পূরণসাপেক্ষে কার্যকরী কমিটি সদস্যপদ প্রদান করবেন। কোনো প্রার্থীর সদস্যপদ দেয়ার পূর্ণ এখতিয়ার কার্যকরী কমিটির থাকবে।
৮। ক্লাবের সদস্য পদ তিন ধরনের হবে
ক) পূর্ণ সদস্য : দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রসমূহে ও সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক ও কর্মরত সাংবাদিকরা ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত শর্তাদি পূরণসাপেক্ষে সদস্যপদ পেতে পারেন এবং এদের পূর্ণ সদস্য হিসেবে গণ্য করা হবে।
খ) সহযোগী সদস্য: সরকারের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা এবং সমাজে উচ্চ সম্মানে আসীন ব্যক্তিবর্গকে সহযোগী সদস্যপদ প্রদান করা যেতে পারে।
গ) সম্মানিত আজীবন সদস্য: পূর্ণ সদস্য যিনি ক্লাবের জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন অথবা যার সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাকে কাবের সাধারণ সভায় মোট সদস্যের তিন চতুর্থাংশের অনুমোদনসাপেক্ষে সম্মানিত আজীবন সদস্যপদ দেয়া যেতে পারে।
ঘ) জীবন সদস্য : সাংবাদিকতায় উৎসাহী বিশিষ্ট ব্যক্তিকে জীবন সদস্যপদ দেয়া যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ক্লাবের তহবিলে এক কালীন ১০ (দশ) হাজার টাকা দান করতে হবে।
৯। শুধুমাত্র পূর্ণ সদস্যদেরই ভোট প্রদান, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার, কোনো প্রার্থীর নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করা এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য হওয়ার অধিকার থাকবে।
১০। ভর্তি ফি ও চাঁদা
ক) প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেক পূর্ণ সদস্যের মাসিক ২০ (বিশ) টাকা চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। সহযোগী সদস্যদের প্রতিমাসে প্রথম সপ্তাহের মধ্যে মাসিক ২০(বিশ) টাকা চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। কার্যকরী কমিটি প্রয়োজনে মাসিক চাঁদার এই হার বাড়াতে পারবেন।
খ) প্রত্যেক পূর্ণ সদস্য ও সহযোগী সদস্যকে ভর্তি ফি বাবদ ৩০ (ত্রিশ) টাকা দিতে হবে।
১১। সদস্যপদ খারিজ, বহিষ্কার ও পদত্যাগ
ক) কোনো পূর্ণ সভ্য যদি সাংবাদিক অথবা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত না থাকেন তাহলে তার সদস্যপদ বহাল থাকবে না।
খ) পরপর তিন মাস যদি কোনো সদস্য মাসিক চাঁদা পরিশোধে ব্যর্ধ হন তবে তার সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
গ) অসদাচরণের জন্য কোনো পূর্ণ সদস্যের কর্মকাণ্ডের জন্য যদি সাংবাদিকতার মহান পেশার সুনাম ক্ষুন্ন হয় অথবা কোনো পূর্ণ সদস্য যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েন যা ক্লাবের স্বার্থের পরিপন্থী তবে তার সদস্যপদ বাতিল করা যেতে পারে। এইরূপ ক্ষেত্রে কার্যকরী কমিটি সংশ্লিষ্ট সদস্যের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
ঘ) যদি কোনো সদস্য অথবা সহযোগী সদস্য পদত্যাগ করেন তবে সেক্ষেত্রে তিনি ক্লাবের সভ্য থাকবেন না। তবে সংশ্লিষ্ট পদত্যাগকারীকে সেক্ষেত্রে সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র লিখিতভাবে দাখিল করতে হবে। কার্যকরী কমিটির সভায় পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে তিনি আর সভ্য থাকবেন না। তবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদত্যাগকারীকে তার নিকট ক্লাবের যদি কোনো সম্পদ থেকে থাকে তা ফেরৎ দিতে হবে। অন্যথায় তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে না।
১২। সাধারণ পরিষদ
ক্লাবের সকল পূর্ণ সদস্যদের নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হবে।
১৩। কার্যকরী কমিটির নির্বাচন
প্রতি দুই বছর অন্তর ক্লাবের সমস্ত পূর্ণ সদস্য নিম্নে বর্ণিত পদসমুহের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও নির্বাচিত হতে পারবেন।
ক) সভাপতি – ০১ জন
খ) সহ-সভাপতি – ০২ জন
গ) সম্পাদক – ০১ জন
ঘ) যুগ্ম সম্পাদক – ০২ জন
ঙ) কোষাধ্যক্ষ – ০১ জন
চ) দপ্তর সম্পাদক – ০১ জন
ছ) সাংস্কৃতিক ও সমাজ ও অনন্য সম্পাদক থাকতে পারবে।
সেবা সম্পাদক – ০১ জন
জ) সদস্য – একধিক লোক জন থাকবে
১৪। যদি কোনো সদস্যের চলতি মাস পর্যন্ত চাঁদা ও অন্যান্য দেয় অর্থ পরিশোধ না থাকে তবে তিনি কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
১৫। কার্যকরী কমিটির সকল সদস্য ২ (দুই) বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন এবং ক্ষমতায় থাকবেন। মেয়াদ শেষ হবার পর সাধারণত জানুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অনিবার্য কারণবশত নির্বাচন অনুষ্ঠানের মেয়াদ ২ (দুই) মাস পযন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
১৬। কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী পূর্ণ সদস্যের সদস্য হিসেবে থাকার মেয়াদ নির্বাচনের পূর্বদিন পর্যন্ত সদস্যপদ ৬ (ছয়) মাস পূর্ণ হতে হবে।
১৭। সভাপতির দায়িত্ব ও কর্তব্য
ক) সভাপতি ক্লাবের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
খ) যদি কোনো ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ভোট সমানভাবে বিভক্ত হয়ে যায় সেক্ষেত্রে সভাপতি তার সভ্য হিসেবে নিজের ভোট ছাড়াও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার জন্য কাস্টিং ভোট প্রদান করতে পারবেন।
গ) ক্লাবের কার্যাবলী পরিচালনার ব্যাপারে সভাপতি সম্পাদককে পরামর্শ দেবেন এবং যেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন সে সব ক্ষেত্রে ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
ঘ) সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতির উপরে বর্ণিত সভাপতির সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন।
১৮। সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
ক) যে কোনো ব্যাপারে তিনি ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সভা আহবান করতে পারবেন।
খ) তিনি ক্লাবের বাৎসরিক বাজেট প্রস্তুত করবেন এবং তা কার্যকরী কমিটির সভায় উত্থাপনপূর্বক পাশ করিয়ে নেবেন।
গ) তিনি যে কোন আশু প্রয়োজন নির্বাহের জন্য ৫০০ (পাঁচ শত) টাকা পর্যন্ত নিজ দায়িত্বে খরচ করতে পারবেন।
ঘ) ক্লাবের সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্ব তিনি বহন করবেন।
ঙ) তিনি ক্লাবের পক্ষে সভাপতির পরামর্শক্রমে সমস্ত যোগাযোগ রক্ষা করবেন। তিনি প্রতিটি সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করবেন।
চ) সভাপতির অনুপস্থিতিতে তিনি ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
১৯। কোষাধ্যক্ষেরে দায়িত্ব ও কর্তব্য
কোষাধ্যক্ষ সব ধরনের খরচের হিসাব ভাইচারসহ ক্যাশ বইতে সংরক্ষণ করবেন। তিনি বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া অর্থ সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে পরামর্শ করে ক্লাবের অ্যাকাউন্টে জমা দেবেন।
২০। প্রতিটি দরখাস্ত সম্পাদক বরাবর করতে হবে।
২১। কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য যদি পরপর ৩ (তিন)টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন তবে ধরে নেয়া হবে যে, তিনি আর উক্ত পদে নেই। কিন্তু যদি কোনো কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য উপস্থিত না থাকতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে যদি ক্লাবের সভার সিদ্ধান্ত থাকে তবে তার বেলায় এ ধারা প্রযোজ্য হবে না।
২২। যদি কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদ কোনো কারণে শূন্য হয় তবে কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সেই শূন্য পদে অন্য কোনো পূর্ণ সদস্যকে কো-আপট করা যেতে পারে।
২৩। প্রতিবছর একবার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। কার্যকরী কমিটি সাধারণ সভার সময় ও তারিখ নির্ধারণ করবে। ক্নিলাবের নিজস্ব ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাৎসরিক সাধারণ সভা ছাড়া অন্য কোনো সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হলে সেই সভা বিশেষ সাধারণ সভা হিসেবে গণ্য হবে।
২৪। কমপক্ষে ১৫ (পনের) দিনের নোটিশ প্রদান করে সম্পাদক বাৎসরিক সাধারণ সভা এবং বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করবেন।
২৫। কোনো সদস্যকে নোটিশ প্রদান করতে হলে রেজিস্টার্ড ডাকযোগে অথবা অফিস পিয়ন বহি মারফত দিতে হবে।
২৬। কার্যকরী কমিটির সভার কমপক্ষে ৩ (তিন) দিন পূর্বে সম্পাদক কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যকে নোটিশ প্রদান করবেন। কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে জরুরিভাবে ২৪ (চব্বিশ) ঘণ্টার নোটিশে সভা আহ্বান করতে পারবেন।
২৭। সভাপতির পরামর্শক্রমে সম্পাদক কার্যকরী কমিটির বিশেষ সভা আহ্বান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ (তিন) দিন পূর্বে সকল কার্যকরী কমিটির সদস্যকে নোটিশ প্রদান করতে হবে। কার্যকরী কমিটির ৪ (চার) জন সদস্য রিকুইজিশন প্রদান করলে সম্পাদক তলবি সভা আহ্বান করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রেও সদস্যদের তিনদিন পূর্বে লিখিত নোটিশ প্রদান করতে হবে।
২৮। কার্যকরী কমিটির সভার কোরামের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
২৯। ক্লাবের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে সভাপতি এবং কোষাধ্যক্ষ অথবা সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।
৩০। প্রেসক্লাবের বার্ষিক আয়-ব্যয় একজন অডিটর দিয়ে নিরীক্ষণ করাতে হবে। অডিটর সভাপতির নিকট রিপোর্ট পেশ করবেন। সভাপতি পরবর্তী কার্যকরী কমিটির সভায় সেই নিরীক্ষিত হিসাব অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন।
৩১। অডিটর কর্তৃক নিরীক্ষিত হিসাব বাৎসরিক সাধারণ সভার অন্তত ১৫ (পনের) দিন পূর্বে ক্লাবের সদস্যদের নিকট পাঠাতে হবে।
৩২। কার্যকরী কমিটি ক্লাবের প্রয়োজনে উপবিধি প্রণয়ন করতে পারবেন। উপবিধিসমুহ পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় অনুমোদিত হতে হবে। উপবিধিসমূহের একটি কপি ক্লাবে রক্ষিত নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিতে হবে এবং প্রতিটি সদস্য এর ফলে অবহিত হয়েছেন বলে ধরে নেয়া হবে।
৩৩। এই গঠনতন্ত্র অথবা এর যে কোনো অঙ্গ বা অনুচ্ছেদ বার্ষিক সাধারণ সভার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করা যাবে।
৩৪। যে দিন এই গঠনতন্ত্র সাধারণ সভায় গৃহিত হবে সেই দিন থেকেই গঠনতন্ত্র কার্যকরী হবে।
৩৫। প্রেসক্লাবের আর্থিক বছর ইংরেজি ক্যালেন্ডারের জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ধরা হবে এবং বাংলাদেশ অনলাইন সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব এর দেশের সকল জেলায় উপজেলায় শাখা কমিটি দেওয়া যাবে।